ফসল : পাট
পোকার নাম : বিছা পোকা/ শুয়ো পোকা
পোকার স্থানীয় নাম : : নেই
পোকা চেনার উপায় : পূর্ণবয়স্ক
পোকা একটি মাঝারী আকারের হালকা বাদামী রং এর মথ। এদের পাখায় কালো ফোঁটা
আছে। স্ত্রী মথ পাটের পাতার উল্টো দিকে গুচ্ছকারে ডিম পাড়ে। প্রথমে ডিমের
রঙ সবুজ ক্রমশঃ বাদামি ও পরে কালো রঙ ধারণ করে। বাচ্চা কীড়া হালকা সবুজ বা
হলুদ বর্ণের হয় এবং পূর্ণবয়স্ক কীড়া কমলা বা গাঢ় হলুদ রঙের হয়। লম্বায়
৪-৫সেমিঃ ও চওড়া ০.৮ সেমিঃ ।
ক্ষতির ধরণ : ডিম ফুটে বাচ্চা
বের হবার পর থেকে এরা পাতার নিচে থাকে ও পাতার সবুজ অংশ খেয়ে পর্দার মতো
করে ফেলে। দলবদ্ধভাবে ৬-৭ দিন থাকার পর এরা গাছের সব পাতায় ছড়িয়ে পড়ে ও
সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। এ অবস্থায় আক্রান্ত পাতা অনেক দূর থেকে সহজেই চেনা
যায়। বড় হবার সাথে সাথে এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের
ব্যাপক ক্ষতি করে। আক্রমণ বেশি হলে এরা কচি ডগা পর্যন্ত খেয়ে গাছকে
পাতাশূন্য বা ডাটাসার করে ফেলে ।ফলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ও আঁশের ফলন কম
হয়।এ পোকা পাটের মুখ্য পোকা হিসেবে চিহ্নিত
আক্রমণের পর্যায় : চারা, পূর্ণ বয়স্ক
পোকামাকড় জীবনকাল : লার্ভা, কীড়া
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : লার্ভা , কীড়া
ব্যবস্থাপনা : ডিমের গাদাসহ পাতা
এবং দলবদ্ধ কীড়া সহ পাতা সংগ্রহ করে পা দ্বারা চেপে মেরে ফেলা অথবা গর্তকরে
মাটিতে পুঁতে ফেলা। পাটের বিছা পোকা দমনের জন্য হেয়াজিনন বা ডায়াজিনন ৬০%
ইসি, নূভাক্রন ৪০% ইসি, ইকালাক্স ২৫% ইসি ১.৫ মিলি ঔষধ ১ লিটার পানিতে বা
১৮ মিলি ঔষধ ১২ লিটার পানিতে মিশিয়ে অথবা রিপকর্ড ১০% বা সিমবুশ ১০% ইসি
অথবা কারাতে ১.৫ ইসি ৬ মিলি ঔষধ ১২ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। পূর্ব-প্রস্তুতি : পাট ক্ষেতের আশে পাশে আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করুন ।
অন্যান্য : পাট কাটার পর গভীরভাবে চাষ করলে পুত্তলীগুলো উপরে উঠে আসে এবং প্রাকৃতিক শত্রু দ্বারা ধ্বংস হয়।
উত্তর সমূহ
ফসল : পাট পোকার নাম : বিছা পোকা/ শুয়ো পোকা পোকার স্থানীয় নাম : : নেই পোকা চেনার উপায় : পূর্ণবয়স্ক পোকা একটি মাঝারী আকারের হালকা বাদামী রং এর মথ। এদের পাখায় কালো ফোঁটা আছে। স্ত্রী মথ পাটের পাতার উল্টো দিকে গুচ্ছকারে ডিম পাড়ে। প্রথমে ডিমের রঙ সবুজ ক্রমশঃ বাদামি ও পরে কালো রঙ ধারণ করে। বাচ্চা কীড়া হালকা সবুজ বা হলুদ বর্ণের হয় এবং পূর্ণবয়স্ক কীড়া কমলা বা গাঢ় হলুদ রঙের হয়। লম্বায় ৪-৫সেমিঃ ও চওড়া ০.৮ সেমিঃ । ক্ষতির ধরণ : ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পর থেকে এরা পাতার নিচে থাকে ও পাতার সবুজ অংশ খেয়ে পর্দার মতো করে ফেলে। দলবদ্ধভাবে ৬-৭ দিন থাকার পর এরা গাছের সব পাতায় ছড়িয়ে পড়ে ও সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। এ অবস্থায় আক্রান্ত পাতা অনেক দূর থেকে সহজেই চেনা যায়। বড় হবার সাথে সাথে এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। আক্রমণ বেশি হলে এরা কচি ডগা পর্যন্ত খেয়ে গাছকে পাতাশূন্য বা ডাটাসার করে ফেলে ।ফলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ও আঁশের ফলন কম হয়।এ পোকা পাটের মুখ্য পোকা হিসেবে চিহ্নিত আক্রমণের পর্যায় : চারা, পূর্ণ বয়স্ক পোকামাকড় জীবনকাল : লার্ভা, কীড়া ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : লার্ভা , কীড়া ব্যবস্থাপনা : ডিমের গাদাসহ পাতা এবং দলবদ্ধ কীড়া সহ পাতা সংগ্রহ করে পা দ্বারা চেপে মেরে ফেলা অথবা গর্তকরে মাটিতে পুঁতে ফেলা। পাটের বিছা পোকা দমনের জন্য হেয়াজিনন বা ডায়াজিনন ৬০% ইসি, নূভাক্রন ৪০% ইসি, ইকালাক্স ২৫% ইসি ১.৫ মিলি ঔষধ ১ লিটার পানিতে বা ১৮ মিলি ঔষধ ১২ লিটার পানিতে মিশিয়ে অথবা রিপকর্ড ১০% বা সিমবুশ ১০% ইসি অথবা কারাতে ১.৫ ইসি ৬ মিলি ঔষধ ১২ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। পূর্ব-প্রস্তুতি : পাট ক্ষেতের আশে পাশে আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করুন । অন্যান্য : পাট কাটার পর গভীরভাবে চাষ করলে পুত্তলীগুলো উপরে উঠে আসে এবং প্রাকৃতিক শত্রু দ্বারা ধ্বংস হয়।