মাগুরায় বাণিজ্যিকভাবে ‘মেক্সিকান ড্রাগন’ ফলের চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। সদর উপজেলার রাউতড়া গ্রামের কৃষক শওকত হোসেনসহ অন্তত ২০জন কৃষক এ ফলের বাণিজ্যিক আবাদ শুরু করেছেন।
কৃষক শওকত জানান, ২০১৪ সালে মাত্র ৪০ শতক জমিতে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। গত মৌসুমে ২ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রির আশা করছেন তিনি। এ বছর গাছ আরো বড় হয়েছে। ফলনও বেশী হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে এ বছর রমজানে প্রায় ৮০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন তিনি। আশা করছেন এ বছর নভেম্বর মাস পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে।
প্রতি বছর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৬মাস ফলন পাওয়া যায় জানিয়ে শওকত বলেন, ঢাকার ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। শওকতের বাগানে ড্রাগন ফল দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের পরিচালক উদ্যানতত্ত্ববিদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মেক্সিকান’ এ ফল বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষ উপযোগী। প্রচন্ড খরা হলে মাত্র এক/দু বার সেচ ও কিছু জৈব সার আর গাছে পিপড়া আক্রমণ ঠেকাতে সামান্য কিছু কীটনাশক দিতে হয়। এছাড়া ড্রাগন চাষে বিশেষ কোনো বাড়তি খরচ লাগে না। রোগ বালাই মুক্ত ড্রাগন গাছ একটানা ৩০-৪০ বছর ফল দেয়।
তিনি আরো জানান, টক-মিষ্টি স্বাদের এ ফল ডায়াবেটিস, উচ্চরক্ত চাপ ও শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ঢাকার বড় বড় চেইন শপে এ ফল ৬শ থেকে ৮শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এ বছর জেলায় প্রায় ২০জন কৃষক ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন। লাভজনক হওয়ায় চাষিরা ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন।
ইত্তেফাক/মোস্তাফিজ
উত্তর সমূহ
kub valo hoise